স্বপ্ন সাঁজোয়া     সুবর্ণ স্বাধীনতা

Celebrating 50 years of idependence

সমস্ত দেশে আজ অস্থিরতা। এ সময় অন্তত কিছুটা নীতি ও নৈতিকতার সীমিত পরিসরে চর্চা তৃণ মুল পর্যায়ে সমাজে ও প্রশাসনে, দীর্ঘমেয়াদে সরকার ও সেই সাথে রাষ্ট্রকে উন্নতি, সমৃদ্ধি ও স্বাধীনতা স্বকীয়তা,সার্বভৌমত্বে এগিয়ে দিতে পারে স্বাপ্নিক সফলতার প্রায় চুড়া স্তরে।

উন্নত বিশ্বের রাষ্ট্রগুলোতে সামাজিক নিরাপত্তার ব্যপারে সাধারণ নৈতিকতার চর্চা আসলে তাদের মানব সম্পদ ব্যপকতর উন্নয়নের একটা মুলগত চাবিকাঠি। পারস্পরিক বোঝাপড়া , পরিমিত শ্রদ্ধাবোধ এগুলো বাইরের অপশক্তি বলয়ের মুখে একরকম নিরাপত্তার বেষ্টনী হিসেবে কাজ করে। নতুবা পরিবার, সমাজ,রাষ্ট্রের প্রতিটি স্তরে প্রত্যেকে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অপশক্তির প্রচ্ছন্ন প্রলোভনে ধাপে ধাপে ব্যবহার হয়ে একের পর এক সবাই বিদ্ধস্থ হতে থাকে। যেমনঃ একটা সীমিত ব্যবসায়িক সংঘ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী ভারতের ও শুরুতে বৃহৎ বাংলার জিনিস ও জনসম্পদ ব্যবহার করে ধাপে ধাপে সবাইকে বিনষ্ট করে রাষ্ট্র বা রাজ্যের বিনাশ সাধন করে।

আজকে বাংলাদেশ হয়ত ২০১০ সালের মধ্যেই একটা উন্নত দেশ হয়ে যেতে পারত, কিন্তু একের পর এক অর্থনৈতিক সাবোটাজে রাষ্ট্র বেদিশা বিহবল হয়েছে। তারপরেও পরবর্তী এক যুগে এদেশ ও তার জনগণ স্বাভাবিক অভিযোজন সামর্থে ক্রান্তিকাল অতিক্রম করে উন্নতি সমৃদ্ধির আরেক সিদ্ধান্তমুলক সময়ে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু সেই স্বর্ণ সময়কে আবাহন করার মত পরিবেশ পরিস্থিতি ও স্বাধীনতার সুবর্ণ মেধা মন মানসিকতা জিইয়ে রাখার এক চরম চ্যালেঞ্জের মুখে সমস্ত দেশ ও জাতি।


আজকে তথ্য প্রযুক্তিতে অর্থনৈতিক সফলতার এক সুবর্ণ বিস্ফোরণের অপেক্ষায় এদেশের প্রজন্ম, দক্ষিণ এর সমুদ্র ঘেঁষা আকাশচুম্বী অবকাঠামোগত উন্নয়ন বাংলাদেশকে পারত পক্ষে বিশ্বের মানচিত্রে চুড়ান্তভাবে একটি সফল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতীয়মান করতে যাচ্ছে।

আমরা জানি, সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসা বাণিজ্য ও মফস্বল লেভেলে রাজনীতির নিরাপত্তার জন্য যৌথ নিরাপত্তা অবকাঠামো র‍্যাব গঠিত হয়েছিল সময়ের প্রয়োজনে।


কিন্তু ঝগড়াঝাটির পরিবর্তে সুশীল আচরণ, কুসংস্কারের মোকাবেলায় প্রগতিশীলতা, পশ্চাদপদতার বিপরীতে উদারপন্থী মানসিকতা, নোংরা কদর্য তন্ত্র মন্ত্র জটাজালের মুখে যুক্তিবুদ্ধি ও বিজ্ঞানমনস্কতা -- এসব সব সু আর শুভ তো সবার বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাস্তবায়ন করে দেওয়া যায় না।
তবে হ্যাঁ, শুদ্ধ বিবেক মন মানসিকতার, নীতি নৈতিকতা চর্চার একটা পরিবেশ অন্তত গড়ে দেওয়া বা চালু করে দেওয়া যায়। সমস্ত দক্ষিণ এশিয়াতে এমন আর কোন দেশ আছে বাংলাদেশের মত যার পুর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ জীবন যাত্রার মান উন্নয়নের সুষম সফলতা প্রায় একই রকম? সত্যি,এমন দেশটির মত কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আরও সত্যির জন্য প্রজম্ন অপেক্ষায় যে "ধন ধান্যে ভরা আমাদের এ বসুন্ধরা"। সে যাই হোক, শহুরে শিক্ষিত জনসম্পদ যারা জীবনের অনেকটা সময় পেরিয়ে গ্রামীণ আবাসনে যায় তাদের সামাজিক নিরাপত্তা ও সামাজিক ক্ষমতায়ন দীর্ঘ মেয়াদে গ্রামীণ তৃণ মুল প্রজন্ম জনসম্পদের ব্যাপক উন্নয়নের জন্য প্রায়োগিক ক্ষেত্রে বিশেষ কার্যকরী হতে পারে।

(উদাহরণ স্বরুপঃ তৃণ মুল পর্যায়ে ব্যপক গণিত চর্চা সম্ভব হয়েছে গণিত অলিম্পিয়াডের মাধ্যমে। এমনকি, একটি বাড়ি একটি খামার এর মত অনেক সহজ অথচ আপাতঃ কঠিন প্রকল্পগুলো সফলতা পেতে পারে শহরের দক্ষ জনসম্পদের গ্রামীণ সামাজিক নিরাপত্তা মুলক আবাসন তথা অভিবাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে। ) সেই সাথে মহিমান্বিত মহতী মহিয়সী নারী যারা জীবনের অনেকটা সময় পেরিয়ে গ্রামে আসেন সেই নারীদের ভাবগাম্ভীর্য, ব্যক্তিত্ব, মন মানসিকতার পুর্ণ সামাজিক নিরাপত্তা কায়েম করা একটা চ্যালেন্জই বটে।
back to main page of হিমু ++