ঝাঁক ঝাঁক পাখীরা উড়ে যাক    

খুব ইন্টালেকচুয়াল একাকীত্বে আছি। একেবারে যেন ' কোথাও কেউ নেই' । এসময় আমার খুব প্রিয় একজন লেখক হুমায়ুন আহমেদের কথা খুব মনে পড়ছে। যদিও হুমায়ুন আহমেদের এর অনেক লেখা খুব সিরিয়াস টাইপ কিছু না আর আমি নিজেও হুমায়ুনের সব লেখা খুব একটা মনযোগ দিয়ে যে পড়ি তাও না। বরং হুমায়ুন আহমেদের ছোট ভাই জাফর ইকবালের লেখা আমি খুব ছোট বেলা থেকেই পড়ি ও তা নিয়ে চিন্তা করি। এমনকি সেই প্রথম সাইন্স ফিকশন 'কপোট্রনিক সুখ দুঃখ ' নিয়ে আমি এখনো গবেষণা করি আর তার পরের একটা বই 'ট্রাইটন একটি গ্রহের নাম' বইটা ইংরেজীতে অনুবাদের পর্যাপ্ত পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছি। তারপরেও হুমায়ুন আমার প্রিয় লেখক। হয়ত সে তেমন সিরিয়াসলি সাহিত্যে নিজের প্রতিভাকে মেলে ধরেনি। হায়,প্রতিভার মহান ভাস্বর, সোনার টুকরা চাঁদের ডালি চলে গেল। না কেমিস্ট্রিতে বড় কোন স্বীকৃতি পেল , না সাহিত্যে একটা কিছু । শুধুই শরত চন্দ্রের উপন্যাসের অস্ফুট কষ্টের মত , আহ থাক। অথবা,পথের পাঁচালীর অপুর মত -- কই বড় হয়ে তুমি খুব বড় কিছু তো হলেনা।

আজ আমি হুমায়ুনের কত গুলো উপন্যাসের শিরোনাম বা টাইটেল ব্যবহার করে একটা কবিতা গুছাচ্ছি। কবিতাটা এরকম --

শংখ নীল কারাগারে নন্দিত নরকে
চাঁদের আলোয় কয়েকজন যুবক
ওরা সবাই গেছে বনে ,
জোছনার হাবুডুবুতে।

একা,বড় একা,হে আশাবরী,
তোমার হাতের পাঁচটি নীল পদ্ম
ঝিলিমিলি গোধূলিতে এখনো কি উঠেনি জ্বলে ?
পঊষের চন্দ্রালোকিত কুহেলি কুহকে
ইম্প্রেশনিস্টদের প্রচ্ছন্ন আবেগের অব্যক্ততার মত
হে বিমূড় যুগের বিভ্রান্ত পথিক,
চাও কি চাওনি এখনও একটু যদি

যাও পাখি বল, কষ্ট পাষাণ স্বপনও পোষে
এখনও আছি হিয়ার মাঝারে
উথার পাথার
যদিও তা অনেক অয়োময়।

রক্তের হিমোগ্লোবিনে ঝাঁঝালো ভাইরাস
বিষাক্ত আর্সেনিক চোখের পাতায় ত্রাস
ঝাঁঝরা ভালবাসার এক ঝাঁকোনিতে ঝেঁড়ে
উন্মীলিত করো শতাব্দীর অন্তিম পহেলা চাহনী।

যদিও উচ্ছিষ্ট ভেবে আমাকেই
হয়ত ছুঁড়ে ফেলেছিলে
পুঁতিগন্ধময় ডাস্টবিনে
সেখানে ডালহৌসি আর লেড়ী কুত্তারা
সোডিয়ামের ফ্লাড লাইটে ভীষণ শোরগোল করে।

কি আছে থাক,যাক ভুলে যাক
সব ভুলের পসরা
উড়তে কি চায় স্বপ্নেরা অধরা?
খুলে দাও জানলা গুলো
শাপলা দোয়েলে ভরা।


কবিতাটা লেখার পর এখন আমার খুব ইচ্ছে করছে একটা বই লিখতে। বইটার নাম সম্ভবত , 'হিমু++ '।

'বহুব্রীহি " বিটিভির একটা মেগা সিরিয়াল- নাটকে বাড়ির মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানের যখন খুব ধুম চলছে, তখন বাচ্চা টগরের বাবাকে জানানো হল,"বাবা,টগর বলেছে ওর খুব বিয়ে করতে ইচ্ছে করছে"।
হাসি আনন্দের সহজ স্বাভাবিকতায় একসময় এদেশ ছিল স্বর্ণ শিখর প্রতিভার খনি, আজ হায় শুধুই শাদা কাফনের মিছিল

অথবা স্বর্ণ কুমারীর একটা কবিতা --
-- সেই ছেলে কবে হবে
কথায় না বড় হয়ে কাজে বড় হবে

back to main page of হিমু ++